বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে বেশ ভালই লাগে। আজ আপনাদের সঙ্গে একদিন একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার কিছু মুহূর্ত নিয়ে হাজির হয়েছি । মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যেটি আমি সবসময়ই বলে থাকি ।যার কারণে মাঝেমধ্যেই কিন্তু রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় ।বেশ কয়েকদিন আগে এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম । সেখানের কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ওদের রেস্টুরেন্টের খাবারও বেশ মজার ।পাশাপাশি ওদের দুটি দোকান ।একটি রেস্টুরেন্ট ও আরেকটি কাচ্চি বিরিয়ানী হোটেল। পাশাপাশি হলেও রেস্টুরেন্টে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে হলে পঞ্চাশ টাকা বেশি দিতে হয় ।তবে আমি যতবারই গিয়েছি রেস্টুরেন্টে বসেই কিন্তু কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছি। পাশের হোটেলে বসে খাওয়া হয়নি। তবে এবার ওদের চাইনিজ ফুড খাবার জন্যই মূলত গিয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টে আমরা মাঝেমধ্যেই যেয়ে থাকি। এর আগেও হয়তো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে সেদিনের খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত

---

বাসা থেকে রেস্টুরেন্টে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না । তারপরেও অন্যান্য রেস্টুরেন্ট থেকে এটিতে যেতে একটু সময় লাগে। যাই হোক সেখানে পৌঁছানোর পর আমরা আমাদের পছন্দের ম্যেনু গুলো অর্ডার করলাম ।আমরা অর্ডার করেছিলাম চিকেন ফ্রাইড রাইস, ক্যাশনেট সালাদ, সিজলিং, চাইনিজ ভেজিটেবল, ড্রিংস। যেহেতু এদের খাবার দিতে একটু সময় লাগবে তাই আমরা প্রথমে ক্যাশনেট সালাদ দিতে বলেছিলাম। কিছু সময় ওয়েট করার পর এরা ক্যাশনেট সালাদ পরিবেশন করল। এটা খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল ।যদিও এই রেস্টুরেন্ট থেকে এটি এর আগে খাওয়া হয়নি। তাই ভাবছিলাম খেতে না জানি কেমন হবে ।তবে খেতে কিন্তু খুবই মজার ছিল। এমনিতেই খেতে বেশ ভালো লাগছিল, রাইসের সঙ্গে খেতে আরও বেশি মজার।

---

তার একটু পরেই তারা বাকি খাবার গুলো সার্ভ করল। এদের ফ্রাইড রাইস খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। অন্যান্য রেস্টুরেন্ট গুলোর তুলনায় এদের ফ্রাইড রাইসের মান ও যথেষ্ট ভালো ।অন্যান্য রেস্টুরেন্টে দেখা যায় চিকেন ফ্রাইড রাইস বলে ঠিকই কিন্তু সেখানে চিকেনের পরিমাণ থাকে খুবই কম। যা একদম দেখতে পাওয়া যায় না ।কিন্তু এই রেস্টুরেন্টে চিকেনের পরিমাণ বেশ ভালই থাকে । আর এদের সিজলিং টি খেতে খুবই সুস্বাদু ।এখানে যতবারই চাইনিজ খেতে এসেছি ততবারই সিজলিং অর্ডার করা হয়েছে।যা খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।

---

মূলত প্রতি মাসেই আমরা চেষ্টা করি কয়েকবার রেস্টুরেন্টে যাবার জন্য ।তবে এবার গিয়েছিলাম প্রায় দুই মাস পর ।যেহেতু হাজবেন্ড দেশের বাইরে ছিল ।তাই রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ।এবার আসার পর পরই আমরা প্রথমে এই স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম ।বেশ অনেকদিন পর গিয়েছিলাম যার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছিল ।তাছাড়া এদের খাবারটা বেশ সুস্বাদু যার কারণে সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল।

---

তারপর কিছু সময় গল্প গুজব করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। ড্রিংক শেষ করে আমাদের বিল পরিশোধ করলাম ।তারপর বেরিয়ে পড়লাম বাসার উদ্দেশ্যে ।আসলে মাঝে মাঝে বাইরে এভাবে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে ।সবারই উচিত এরকম বাইরে সময় কাটানো। এতে করে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা যেমন সুদৃঢ় হয় তেমনি ভালো কিছু মুহূর্ত কাটানো যায় ।আর মজার খাবারের কথা তো বাদই দিলাম।

---

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy