সিজনাল কিছু ফলের ফটোগ্রাফি।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি

photo_2023-11-13_09-42-31.jpg

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু সিজনাল ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।

বেশ কিছুদিন যাবৎ অমাার মোবাইলে কিছু ফলের ফটোগ্রাফি জমা পড়ে আছে। চিন্তা করলাম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা দরকার। কারন যে ফলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে রয়েছে, সে গুলোর সিজন অলরেডি শেষ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে ফটেগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করা। একটি দুটি করে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি হয়ে গেছে। আর ছবি গুলোও দারুন হয়েছে। আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে।

002.jpg

02.jpg

প্রথম দিকেই রয়েছে তরতাজা তিনটি কাঠাল। কাঠাল গুলো তখনো গাছের মধ্যেই ঝুলে ছিল। এখন তো আর গাছে নাই। কারন কাঠালের সিজন চলে গেছে। কাঠালও মানুষের পেটে চলে গেছে। এই পিক গুলো অমার এক চাচির গাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। রমজানের ঈদের সময় চাচির বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কাঠাল ‍গুলো দেখে ভালোই লেগেছিল। একটি গাছে একটিই কাঠাল আর একটি গাছে তিনটি কাঠাল রয়েছে। তবে দেখা যায় দুটি কাঠাল। একটি গাছে একটি ফল থাকলে সেটা শক্তিশালী হয় বেশি।

001.jpg

01.jpg

এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুটি ড্রাগন ফল। এগুলো অনেক বড় হয়। এগুলো আমার ছোট বোনের গাছের ড্রাগন। সে প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু টাকা জমিয়েছিল। সে গুলো দিয়ে এই ড্রাগন গাছ গুলো কিনেছিল। এখানে দুটি ড্রাগন দুই অবস্থায় আছে। প্রথমটি প্রায় লাল হয়ে যাচ্ছে, এরকম হলে মাস খানেক পরেই খাওয়া যায়। আর দ্বিতীয়টি মাত্র বড় হয়তেছে। এখন কালার পরিবর্তন হয়নি। ড্রাগন ফলের গাছ গুলো দেখতে অদ্ভুত লাগে। ডাল পালা গুলোর ভিতরে থেকে কিভাবে ফুল বের হয়ে, ফল হয়ে যায়। সব থেকে আর্কষন করে ড্রাগন ফুল।

03.jpg

কিছুদিন আগে এই ফলটির সিজন শেষ হয়েছে। সবার খুবই প্রিয় একটি ফল লটকন। খেতে খুবই সুস্বাদু ফলটি কেনার সময় বাজার থেকে ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। ছোট বড় সবাই এইফলটি খেতে পছন্দ করে। শুনেছি উত্তরবঙ্গের দিকে লটকনের বড় বড় গাছ রয়েছে। এখন বানিজ্যক ভাবে এই ফলটা চাষ করা হয়। আমি এখনো সরাসরি লটকন গাছ দেখি নাই। আমাদের দিকে এই গাছ নাই।

04.jpg

নারায়নগঞ্জের চাষাড়া মোড় থেকে সংগ্রহ করা এই ফটোগ্রাফির ফলটার নাম সবাই জানেন। এই ফলটির সিজন বার মাসই থাকে। এটা আমার খুবই পছন্দের একটি ফল। এখনও বাজারে এই ফলটি পাওয়া যায়। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি ধরে বিক্রয় করে থাকে এই ফলটি। তবে দেশি পেয়ারার মত এত স্বাদ পাওয়া যায় না। আমাদের নিজের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি, দুই জাগাতেই পেয়ারা গাছ আছে। বারো মাসই পেয়ারা খাওয়া যায়।

05.jpg

005.jpg

এগুলো আমার বড় আপুর বাড়ির কাঠাল। আপুর কাঠাল বাগান আছে। সেখানে গেলে কাঠাল খেয়ে শেষ করা যায় না। আসলে সিলেট হলো পূণ্যভূমি। জায়গাও অনেক সুন্দর। সেখানে কোন কিছুর অভাব নেই। আর সেখানের মানুষ গুলোও অতিথি পরায়ন। আপুর বাড়িতে থাকার সময় প্রচুর কাঠাল খেয়েছি। আপু গাছথেকে কাঠাল পাড়লে দশ বারোটা করে কাঠাল পাড়ে। আর ভাড়াটিয়াদেরকেও কাঠাল দেয়। ফল থাকলে নষ্ট না করে, পাড়া প্রতিবেশিদের দেওয়া উচিত। নষ্ট করলে গুনা হয়, গিফট করলে সাওয়াব হয়।

বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের ব্লগ। অনেক গুলো ফলের ছবি শেয়ার করলাম। সব গুলো তরতাজা ও শক্তিশালী ফল। এই গুলো বাংলাদেশের খুবেই পরিচিত ফল। এখন বাজারে সিজনালি কমলা, আনারস, মাল্টা, আপেল, ড্রাগন এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। মাঝে মাঝে আমও দেখা যায়। যায়হোক আজকে আর বাড়াতে চাই না। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বিদায় নিতে চাই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামসিজনাল কিছু ফলের ফটোগ্রাফি।
স্থানব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ।
তারিখ১৮-০৯-২০২৪
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

image.png

image.png

Sort:  
 3 days ago 

আপু আপনার বড় আপুর কাঁঠাল বাগান থেকে পাকা কাঁঠাল ফলের দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। পাকা কাঁঠাল খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পাকা কাঁঠালের ফটোগ্রাফি টা দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

!upvote 15


💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven).

5 min since the post creation. Try again in a few minutes

 3 days ago 

অসম্ভব কিছু সিজনাল ফলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল খুবই পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে লটকন এবং কাঁঠালের কোষের ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এবং কাঁঠালের কোষ দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সিজনাল কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু দেখে বেশ ভালো লেগেছে। সিজনাল ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়া দেখতেও খুব ভালো লাগে। বিভিন্ন সিজনে আমরা বিভিন্ন ফল খেতে পারি। আপনি সুন্দর সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন অনেক ধন্যবাদ।

 3 days ago 

আসলে আমার মতে কাঁঠাল বছরের একটা সময়ে পাওয়া গেলেও এই ড্রাগন ফ্রুট কিন্তু বছরের বিভিন্ন সময় পাওয়া যায়। এছাড়াও এখন আমরা কিন্তু পেয়ারা সারা বছর পেয়ে থাকি। যদিও পেয়ারা আমাদের এখানে একটি সিজনাল ফল। আসলে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কতগুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং প্রতিটা ছবির বর্ণনা আপনি খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।

 3 days ago 

খুব সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার সব ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। এত সুন্দর সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 days ago 

সিজনাল কয়েকটি ফলের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন। কাঁঠাল দেখে তো ইচ্ছা করছে খাইতে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 3 days ago 

ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার শেয়ার করা সিজনাল ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার।খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

আজকে আপনি সিজনাল কিছু ফলের চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। সত্যি বলতে আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। তবে কাঁঠালের ফটোগ্রাফি দেখে কাঁঠাল খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার আপুর বাসায় ওখানে অনেক কাঁঠাল আছে। সুন্দর সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 days ago 

আপনি দেখছি আজকে বেশ কিছু ফলের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী সিজনাল কিছু ফলের। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা কাঠাল ফলের ফটোগ্রাফী টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আর কাঠাল আমার খুবই প্রিয় একটি ফল।