বান্ধবীর বিয়ের জন্য গিফট কেনার অনুভূতি।।

হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লকবাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ফ্রেন্ডের বিয়ে উপলক্ষে গিফট কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।

বন্ধুরা আপনারা জানেন যে আমি বর্তমানে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়তেছি। আমার সমবয়সী যারা ছিল, যারা আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিল, তাদের মধ্যে বেশি অংশ ফ্রেন্ডেরই বিয়ে হয়ে গেছে। তবে দু একজন এখনো বিয়ের বাকি আছে। আমার তৃতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বর্তমানে আমি বাড়িতে অবস্থান করতেছি। পরীক্ষা দেওয়ার সময় এক ফ্রেন্ডের বিয়ের দাওয়াত পেলাম। যদি আমি ঢাকা থাকতাম তাহলে হয়তো ফ্রেন্ডের বিয়েতে যাওয়া হতো না। কিন্তু যেহেতু বর্তমানে আমাদের বাড়িতেই আছি, সেহেতো আমার ফ্রেন্ড এর বিয়েতে অবশ্যই যাওয়া দরকার।

আমার এই ফ্রেন্ডের বাড়ি আমাদের গ্রামেই। আমার ফ্রেন্ড মধ্যম ফ্যামিলির মানুষ। তাদের বাড়িতেই ছোটখাটো করে একটি অনুষ্ঠান করবে। যেহেতু আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড তাই আমি এবং আমার হাজব্যান্ড দুজনকেই দাওয়াত দিয়েছে। আমার হাজব্যান্ড কে বলেছিলাম তিনি অফিস রেখে ঢাকা থেকে আসতে পারবে না। সেজন্য আমার একাই যেতে হবে। তো ফ্রেন্ড এর বিয়েতে যেতে হলে অবশ্যই কোনো না কোনো একটি গিফট নিয়ে যাওয়া দরকার। আমার এই ফ্রেন্ড আমার বিয়েতেও এসেছিল।

এখন আমার ফ্রেন্ড এর বিয়েতে কি গিফট দেওয়া যায় সেটা চিন্তা ভাবনা করতে লাগলাম। আমার হাজবেন্ডের সাথে পরামর্শ করেছিলাম। তিনি বললেন আমার ইচ্ছামতো যেকোনো একটি গিফট দিয়ে দিতে। তারপর আমি আমার ছোট বোনকে জিজ্ঞেস করলাম, যে বিয়েতে কি গিফট দেওয়া যায়। সে তখন বলল তাদের ফ্যামিলিতে ব্যবহার করতে পারে এমন একটি গিফট দিলে ভালো হয়। আমার ছোট বোনের কথাটি আমার কাছে ভালো লেগে যায়। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করলাম ফ্যামিলিতে ব্যবহার করে এমন কি জিনিস রয়েছে। সে তখন বলল একটি রাইস কুকার দিতে। আমি বললাম তাদের বাড়িতে রাইস কুকার আছে। তখন সে বলল তাহলে একটি প্রেসার কুকার দিয়ে দেন। আমি বললাম এটা ঠিক আছে, কারণ তাদের বাড়িতে প্রেশার কুকার নেই।

গত পরশুদিন সন্ধ্যায় আমি আমার ছোট বোনকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গেলাম। প্রথমে একটি দোকানে গিয়ে প্রেসার কুকার কেমন দাম হবে সেটা যাচাই করলাম। কিন্তু ওই দোকানের মধ্যে প্রেসার কুকারের সাথে তাদের মূল্য অনেক বেশি ছিল। যার ফলে আমি তাদের দোকান থেকে বের হয়ে অন্য একটি দোকানে গেলাম। ওই দোকানে গিয়ে মোটামুটি তাদের জিনিসের সাথে দামের মিল পেলাম।

আমি শরিফ ব্র্যান্ডের 6.5 লিটার প্রেসার কুকার টি চয়েজ করলাম। তারা প্রথমে এটির দাম বলেছিল তিন হাজার টাকা। তারপর আমি প্রথমে ২০০০ টাকা বলেছিলাম। কিন্তু তারা ২৫০০ টাকার কমে দিবেনা। তারপর ২৫০০ টাকা দিয়ে আমি এই রাইস কুকার টি নিয়ে নিলাম। যেহেতু আমি আমার ফ্রেন্ডের বিয়েতে এটি গিফট করবো, সেজন্য আমি দোকানদার কে বললাম যেন রঙ্গিন পেপার দিয়ে এটি মুড়িয়ে দেওয়া হয়।

তারপর তারা আমার কথামতো প্রেসার কুকার টি সুন্দরভাবে রঙ্গিন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিলো। আমি আর আমার ছোট বোন প্রেসার কুকারের টাকা দিয়ে চলে আসলাম। আমরা সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম আমার বাবার দোকানে। সেখানে বাবার সাথে একটু কথা বলে তারপর আমরা একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানে হালকা কিছু খাওয়া-দাওয়া করে তারপর রিক্সা নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। বন্ধুরা এই গিফট নিয়ে আগামীকাল আমার ফ্রেন্ড এর বিয়েতে যাবো।

তবে বর্তমানে যে হারে গরম পড়েছে, তার জন্য খুবই ভয় লাগছে। আবহাওয়া অফিস থেকে জানতে পারলাম আরো ৫-৬ দিন নাকি এরকম গরম থাকবে। যাইহোক যেহেতু গিফট কিনে ফেলেছি বিয়ে তো অবশ্যই যেতে হবে। বিয়েতে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবো। তো বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকে আমি বিদায় নিতে চাই। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,সেই কামনা করি।

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।