ফোনে ডুবে থাকার ফল😊
হ্যালো,
মেয়েকে রেখেই রওনা দিলাম।অটোতে করে সাদুল্যাপুর গিয়ে প্রথমে টাকা তুলে নিলাম এবং ক্লে কিনতে গেলাম ক্লে কেনার পর কিনলাম মেয়ের জন্য কেক,বিস্কুট, চিপস, চকলেট ইত্যাদি।
এরপর গেলাম কাঁচা বাজারে টিভিতে খবরে শুনলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখলাম ছয় মাস আগে যে দামে কিনেছি সেই দাম এখনো চলছে।পেঁয়াজ, রসুন কিনলাম,আলুও কিনলাম। মূলা,শাক ও লাল শাক কিনলাম। শাক চমার খুব পছন্দ তাই শাক দেখলেই কিনে ফেলি।কাঁচা মরিচও কিনলাৃ কিছু মরিচের ঝালের চেয়ে দামের ঝাঁজ বেশি মনে হলো।
মেয়ের জন্য আপেলও কিনলাম।অষ্ট্রেলিয়ান আপেল গুলো খুব মিষ্টি হয় এবং আমার মেয়ে খুব পছন্দ করে। সব সময় এই অষ্ট্রেলিয়ান আপেল পাওয়া যায় না তাই দোকানে দেখলেই নিয়ে নেই।
বেশ কিছু টা ভারি হয়ে গেলো তাই ভাবলাম আর কিছু কিনবো না।ভ্যান না পেয়ে বাবলাম একমিনিট হাঁটলে তো অটোরিকশা পাওয়া যাবে একবারে সেটাতে উঠে চলে যাবো।তাল দেখলাম একটি দোকানে তাই বিশাল বড়ো একটা তাল কিনে ফেল্লাম।তালের ও বেশ দাম এখন তালের দাম হবে না বা কেন এখন তো আমরা তালের শাঁস খেতে ভালোবাসি তাই খুব তাল আর পাঁকা অবদি থাকে না।এজন্যই দাম বেড়ে গেছে।
তাল কিনে ভাবছিলাম কাজ তো শেষ অটোতে গিয়ে বসি এরপর একটি অটোতে উঠে বসলাম। একমাত্র যাত্রী আমি ছিলাম প্রথমে পরে অবশ্য দুএকজন উঠেছে আর তাদের গন্তব্যে নেমেছেন। আমি অটোতে উঠেই জেনারেল চ্যাটে ঢুকে আড্ডা দিলাম কিন্তুু অটোটি ছেরে দেয়াতে অটো এমন হেলেদুলে যাচ্ছিল যে আর লিখতে পেলাম না।এবার ভাবলাম তাহলে ফেসবুকে খবর দেখি।ইদানীং আমি খুব খবর দেখি তবে টিভিতে নয় ফোনে ফেসবুকের নিউজ ফিডে। টেলিভিশনে যে খবর আসে না তা এখন ফেসবুকে খুব তারাতারি পাওয়া যায়।
তো খবর দেখছিলাম আর বুঝতে পারিনি আমার গন্তব্যে আমি পৌঁছে গেছি হঠাৎ অটোটা দারালো আর আমি ভাবলাম হয়তো বা এটা অন্যকোন জায়গা তাই দাড়িয়েছে।এখন আমি মাথা তুলে না তাকিয়ে বল্লাম আমাকে রেখে আসেন আর অটোওয়ালা বল্লো বাড়িতে যাবো অন্য অটোতে তুলে দেই।আমি বল্লাম টাকা বাড়িয়ে দেবো রেখে আসেন এসব কিছু বলছি ফোন দেখতে দেখে।
অটোওয়ালা তখন আমাকে নিয়ে যেতে লাগলো একদমই দুই কিলোমিটারে গেছে মনে মনে ভাবছি আজ এতো সময় লাগছে কেন কান্তনগর পৌঁছাতে। মাথা তুলে তাকাতেই দেখতে পেলাম আমি তো কান্তনগর ছেরে নলডাাঙায় চলে এসেছি।
আমি আমি চমকে গিয়ে অটোওয়ালা কে বল্লাম এটা তো নলডাাঙা এখানে এনেছেন কেন। ওনি বল্লেন আপনি তো বল্লেন রেখে আসেন আমি ভেবেছি নলডাাঙা আপনার বাড়ি আর সেখানে যাওয়ার জন্য বলেছেন রেখে আসেন টাকা বাড়িয়ে দেব।
আমি তো একেবারে বোকা সেজে গেলাম আর ওনাকে বল্লাম আমাকে আবার কান্তনগরে নিয়ে চলেন। এরপর ওনি কান্ত নগরে উদ্দেশ্যে রওনা দিলো আর আমি ফোন ব্যাগে রেখে দিয়ে মনে মনে ভাবলাম অতিরিক্ত কিছু ই ভালো নয়।
আমি যদি এভাবে ফোনে খবর না দেখতাম তাহলে এরকম ভুল হতো না।কিংবা যখন অটোটি থেমেছিলো তখন অন্তত অটোওয়ালার সাথে ভালো করে চারপাশে দেখে কথা বলতাম তাহলে এমন ভুল হতো না।মনে মনে নিজের প্রতি যেমন রাগ হচ্ছিল তেমন হাসিও পাচ্ছিল।
এসব ভাবতে ভাবতে কান্তনগরে পৌঁছে গেছি ও অটোটি দাঁড়ানোর সাথে সাথেই আমার বাড়ির পাশের আর একটি অটোভ্যান পেলাম ও সেটাতে করে চলে আসলাম বাড়িতে।
যতোবার মনে হচ্ছে ঘটনা টা ততবার হাসি পাচ্ছে এবং যার সাথে শেয়ার করি সে হাসাহাসি শুরু করে দিচ্ছে। যাই হোক ঘটনাটা কিন্তুু ঘটেছে সত্যি হাস্যকর।হাসলে মানুষের শরীরের জন্য উপকার তাই কারণে অকারণে হাসি পাওয়া মন্দ নয় হাহাহা।এটাই ফোনে ডুবে থাকার ফল।
আজকে মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আজকাল সবারই মনে হয়ে এমন হয়। আমিতো মাঝে মাঝে চুলায় তরকারী দিয়ে এসে ফোন দেখতে থাকি যখন পোড়া গন্ধ বের হয় তখন হুশ হয়। তবে এ ঘটনা থেকে একটা শিক্ষা আপনি পেলেন। আর কখনও আটোতে চড়ে এভাবে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পরবেন না। তবে বেশ মজা পেলাম আপনার ঘটনাটি পড়ে। আনন্দ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হাহাহাহা আপনার ঘটনা জেনেও হাসি পেলো। একদমই শিক্ষা পেয়েছি আর অটোতে উঠে ফোন টিপবো না।ভাগ্যিস অটো ট্রেন নয়😊।
আজকে আমার সাথেও এমন হইছে। অবশ্য এক্ষেত্রে অটোওয়ালা নাকি ভুল শুনছে। কিন্তু রাস্তা বেশি যাওয়া লাগে নাই।
হাহাহাহা আমার সাথেও এরকম ঘটনা হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না তার ফল আমিও হারে হারে পেয়েছি।তুমি যে ফোনে ডুবে থাকতে থাকতে কান্তনগর ছেড়ে নলডাঙ্গায় চলে গেছো এই গল্পটি সেদিন শোনার পর আমি হাসতে হাসতে মরতে বসে ছিলাম।🤣🤣ফোন নিয়ে এ রকমই ডুবে থাকো তারপর একদিন আমার ভাইকে ছেড়ে অন্য কোন জেলায় গিয়ে অন্য কারো ঘরে ঢুকে পড়ো...🤣অসম্ভব মজার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।
হাহাহাহা সেটাই বাকি আছে মনে হচ্ছে। সত্যি হাসার মতোই ঘটনাটি আমারও যতোবার মনে পড়ে ততবার হাসি পায়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।