লাইফস্টাইল পোস্ট || পুস কয়েন এর দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে বন্ধুদেরকে ট্রিট দেওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। মূলত পুস কয়েন এর দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে বন্ধুদেরকে গত রবিবার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ট্রিট দিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যদিও আমি পুস কয়েন বিক্রি করিনি, তবে পুস কয়েন এর দাম অনেক বৃদ্ধি পাওয়াতে বেশ ভালো লাগছে এবং সেই খুশিতে তাদেরকে ট্রিট দিয়েছি আর কি। তবে আমি প্রতিনিয়ত অল্প অল্প পরিমাণে পুস কয়েন কেনার চেষ্টা করছি। কারণ আমি নিশ্চিত পুস কয়েন এর ভবিষ্যৎ একেবারে উজ্জ্বল। তাই আমাদের সবার উচিত যথাসম্ভব পুস কয়েন কিনে হোল্ড করে রাখা। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক,সপ্তাহ খানেক আগে বন্ধুদের সাথে বিকেলে আড্ডা দেওয়ার সময় কথায় কথায় শেয়ার করলাম পুস কয়েন এর কথা।
তারা যখন শুনলো পুস কয়েন কিনে আমি ইতিমধ্যেই বেশ লাভবান হয়েছি,তারা সাথে সাথে বললো ট্রিট দেওয়ার কথা। যেহেতু পুস কয়েন এর কারণে আমার মুড বেশ কিছুদিন ধরেই একেবারে ফুরফুরে, তাই তাদের কথায় সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর তাদেরকে বলে রাখলাম রবিবার দুপুরে সবাই একসাথে লাঞ্চ করবো কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। কারণ কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট নারায়ণগঞ্জ শাখার খাবারের মান খুবই ভালো হয়। যাইহোক গত রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার মাঝেমধ্যে বৃষ্টি বেশিও হচ্ছিলো। তো সকালে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা নিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জের ৫নং ঘাটে গেলাম মাছ কিনতে। মাছ কিনে বাসায় এসেছিলাম বেলা ১১ টার আগে। যেহেতু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম,তাই বাসায় এসেই একটু ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। বৃষ্টির দিন ঘুমাতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে।
হঠাৎ করে এক ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে মনে করিয়ে দিলো দুপুরে ট্রিট দেওয়ার কথা। আমি তো ভেবেছিলাম বৃষ্টি হচ্ছে বলে ওরা যাবেই না😂। কিন্তু দেখলাম বৃষ্টি হওয়াতে তারা আরও বেশি খুশি হয়েছে। কারণ ঠান্ডা ওয়েদারে নাকি মজা করে কাচ্চি খেতে পারবে 😂। যাইহোক যোহর নামাজ আদায় করে দুপুর ২ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেই কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমরা ৬ জন। ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ার বালুর মাঠে অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। রেস্টুরেন্টে ঢুকেই দেখলাম প্রচুর ভিড়। আমরা ৬ জন একটা টেবিলে বসে খাবার অর্ডার করলাম। মূলত আমরা যে লাঞ্চ সেট অর্ডার করলাম, তার মধ্যে ছিলো বাসমতি কাচ্চি, মুরগির রোস্ট, জালি কাবাব এবং বোরহানি। এটার দাম ছিলো ৫৫০ টাকা করে। অর্থাৎ ৬ জনের জন্য এই সেট অর্ডার করলাম এবং প্রতি জনের জন্য ৫৫০ টাকা করে।
অর্ডার দেওয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের টেবিলে খাবার চলে আসলো। সবাই বেশ ক্ষুধার্ত ছিলো, তাই সাথে সাথে খাওয়া শুরু করলো। কিন্তু আমি কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম আগে, তারপর খাওয়া শুরু করেছিলাম। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই খাওয়া শেষ হয়ে গেলো আমাদের। কাচ্চির মাংস একেবারেই সফট ছিলো। তাছাড়া চিকেন রোস্টের স্বাদ ছিলো দারুণ। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাবলাম ডেজার্ট আইটেম ট্রাই করা যাক। তারপর ৬ টা ফিরনি এবং ৪ টা বাদাম শরবত অর্ডার দিলাম। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের বাদাম শরবতটি খেতে সবসময়ই আমার খুব ভালো লাগে। সবমিলিয়ে খাবারের মান খুব ভালো ছিলো। তারপর ওয়েটারকে বললাম বিল দিতে। সবমিলিয়ে বিল আসলো ৪০৫০ টাকা এবং ওয়েটারকে ৫০ টাকা টিপস দিয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম। পুস কয়েন এর দাম বৃদ্ধির খুশিতে বন্ধুদেরকে ট্রিট দিয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৯.৯.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
ভাইয়া পুশ কয়েন এর দাম বেড়ে যাওয়ায় বন্ধুদের ট্রিট দিলেন আমাদের ট্রিটটা কিন্তু বাকি রয়ে গেল। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন ভাই দেখে ভালো লাগলো। যাইহোক বর্তমান প্রফিটে আপনি অনেক খুশি। আর এটা যখনই আপনার বন্ধুরা জানতে পারলো ট্রিট চাইলো আর আপনি তাদের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ালেন। ভাই আমার এটা কিন্তু বাকি রয়ে গেল মনে রাখবেন। হাহা ।তাছাড়া কাচ্চি বিরিয়ানি কিন্তু আমার অনেক প্রিয়। যাক সব মিলিয়ে আপনার বিল এসেছিল ৪০৫০ টাকা। তাহলে অফিসের সকলকে বেশ ভালোভাবেই ট্রিট দিয়েছেন বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
ওরা আমার অফিসের বন্ধু না, এলাকার বন্ধু বান্ধব। আমি তো চাকরি করি না ব্যবসা করি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার এই খুশি বজায় থাকুন দীর্ঘদিন! আরও বেশী বেশী ট্রিট দিন সবাইকে :)
এই ৪ হাজার টাকা পুশ টোকেন দিয়ে পে করতে পারলে আরও ওচাম হতো, তাই না?
আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশান (American Diabetic Association- ADA) এর মতে, একজন বয়স্ক ডায়াবেটিস রুগী (১৮ বছরের উর্দ্ধে) কে প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মধ্যম মাত্রার (moderate-intensity exercise) শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। অথবা, প্রতি সপ্তাহে ৭৫ মিনিট কঠোর মাত্রার (vigorous-intensity exercise) শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। মাংশপেশী (Muscle-strengthening exercise) গঠনের জন্যে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সপ্তাহে দুই দিন বা তার বেশী।
কিভাবে বুঝবো ব্যায়ামের তীব্রতা কেমন হচ্ছে?
এটার জন্যে আগে বের করা লাগবে একজন মানুষের ম্যাক্সিমাম হার্ট (Maximum Heart Rate-MHR) রেট কত হতে পারে। এটা বয়সের উপর নির্ভর করে। সূত্রঃ MHR=২২০- বয়স। [উদাহরণঃ একজনের বয়স ৪০ বছর। তার MHR=২২০-৪০=১৮০ বিটস/মিনিট]
কঠোর মাত্রার ব্যায়ামঃ ব্যায়াম করা অবস্থায় কারও হার্ট রেট যদি তার নিজস্ব MHR এর ৭০% বা তার উপরে যায় তাহলে সেটাকে কঠোর মাত্রার ব্যায়াম হিসাবে ধরা যাবে। [উদাহরণঃ ৪০ বছর বয়স্ক লোকের কথায় ধরা যাক যার MHR হচ্ছে ১৮০ বিটস/মিনিট। তার MHR এর ৭০% হচ্ছে ১২৬ বিটস/মিনিট। অর্থাৎ তার হার্ট রেট ১২৬ বিটস/মিনিটের উপরে গেলেই বলা যাবে যে তিনি কঠোর মাত্রার ব্যায়াম করছেন]
মধ্যম মাত্রার ব্যায়ামঃ যখন হার্ট রেট তার MHR এর ৫০%-৭০% মধ্যে থাকবে। [উদাহরণঃ উপরের ব্যক্তির হার্ট রেট ৯০-১২৬ বিটস/মিনিটের মধ্য থাকলে বলা যাবে যে উনি মধ্যম মাত্রার ব্যায়াম করছে।]
পুস কয়েন দিয়ে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই করা যাবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার ভালো লাগার অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে। দেখলাম প্রিয় কয়েনের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। আর এদিকে আপনি হালাল কাজ করে ফেললেন। আসলে মানুষকে খাওয়ালে সেই জিনিসের বরকত বাড়ে। আপনি যে উদ্দেশ্যে আছেন অবশ্যই এতে আরো বেশি সফলতা আসবে।
হ্যাঁ পুস কয়েন এর দাম বেশ ভালোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শেষ রক্ষা আর হলো না। বৃষ্টি হয়েও আর কোন কাজ হলো না ভাইয়া। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ট্রিট দিতেই হলো। পুস কয়েন কিনে অনেক লাভবান হয়েছেন আর বন্ধুদেরকে ট্রিট দিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে বন্ধুদেরকে ট্রিট দিতেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পুস কয়েন এর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাই এতে আমাদের মাঝে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে। আমাদের সকল স্বপ্ন গুলো পূরণ হবে পুস কয়েন এর জন । পুস কয়েন এর দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে বন্ধুদেরকে ট্রিট দিয়েছেন খুব ভালো লাগলো দেখে। সবার সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দারুন ছিলো। এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।