ইতিবাচক এবং নেতিবাচক।

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago

আজ- ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000039302.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। একটি মুদ্রার যেমন দুই পিঠ থাকে তেমনি প্রত্যেকটি জিনিসের বা বিষয়ের দুটি দিক রয়েছে। একটি ইতিবাচক অপরটি নেতিবাচক। এখন আমরা কোন দিকটিকে গ্রহণ করব সেটা একান্তই আমাদের ব্যাপার । ভালো দিকটি গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা ভালো কিছু অর্জন করতে পারব আর নেতিবাচক দিক গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা নেতিবাচক দিকে প্রভাবিত হব।

যেমন বিশ্বে যত প্রযুক্তির যত কিছু আবিষ্কার রয়েছে তাতে ইতিবাচক প্রভাব এবং নেতিবাচক প্রভাব দুইটি দিকই রয়েছে। যেমন ধরুন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি প্রযুক্তি কিংবা মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক এবং ইন্টারনেট। যেগুলো ছাড়া আমরা বর্তমানে এক মুহূর্ত কল্পনাও করতে পারি না। জীবনের সাথে অনেকটা গভীর ভাবে বিষয়গুলো জড়িয়ে গিয়েছে। অথচ এই বিষয়গুলো জীবনকে আমাদের যতটা আনন্দময় করে দিয়েছে আবার ততটাই খারাপ প্রভাব বিস্তার করেছে । আমরা কত কত মূল্যবান সময় অচিরেই ফেসবুকের মধ্যে গিয়ে অপচয় করছি। ফেসবুকের ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যতটা উপকারিতা পাচ্ছি ঠিক তার বিপরীতে অপকারিতা ও পাচ্ছি । ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুব সমাজ জড়িয়ে যাচ্ছে নানা ধরনের অপকর্মের সাথে। আবার ইন্টারনেটের কল্যাণে মানুষ না জানা অনেক কিছুর সাথে পরিচয় হচ্ছে জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে এবং অনেক কিছু শিখছে।

আসলে কোন আবিষ্কার কিংবা প্রযুক্তির পেছনে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুইটি দিক থাকবেই । এখন কথা হচ্ছে আমরা কোনটিকে গ্রহণ করছি সেটা। আমরা যদি নেতিবাচক দিক থেকে গ্রহণ করে তাহলে সেটি নেতিবাচক হয়ে উঠবে আর যদি ইতিবাচক গ্রহণ করি তাহলে ইতিবাচক হয়ে উঠবো ।

বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজকর্মগুলোকে খুব সহজ ভাবে তৈরি করার জন্য নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষ যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ফলে মানুষ হয়ে উঠছে অলস এবং যান্ত্রিক। রোবট কিংবা যন্ত্রের ব্যবহার এর ফলে মানুষের যেমন সময় বেঁচেছে এবং পরিশ্রম কম হচ্ছে। ফলে এই বিষয়টিকে এটি ইতিবাচক বলা যায়। কিন্তু আবার এই রোবট কিংবা যান্ত্রিক বিষয়গুলোর ব্যবহারের ফলে মানুষ তাদের কর্ম থেকে অনেকটা দূরে সরে আসছে । ফলে এটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

শুধুমাত্র যন্ত্র কিংবা আবিষ্কারের মধ্যেই যে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে তা কিন্তু আমাদের মানুষের মধ্যেও কিন্তু ভালো এবং খারাপ রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষ ভিন্ন এবং আলাদা আলাদা। আর প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই রয়েছে ভালো এবং খারাপ দিক। তাই আমাদের উচিত মানুষের খারাপ দিক গুলো দিয়ে সব সময় সমালোচনা না করে ভালো গুলো নিয়েও ভাবা। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি একজন মানুষ যতই খারাপ মানুষ হোক না কেন তার মধ্যে নিশ্চয়ই কোন না কোন ভালো গুণ অবশ্যই রয়েছে। আর অনেক ভালো মানুষের মধ্যেও কিছুটা খারাপ গুণ থাকবে আর এটি স্বাভাবিক। তাই কোন মানুষকে ভালো এবং খারাপ এই বিষয়টি বিচার করার মানুষগুলো ভালো দিকগুলোকে সবার আগে সামনে আনা উচিত। এবং সব কিছুতেই ভালো দিকটাই গ্রহণ করা উচিত।

আজ তাহলে এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 11 days ago 

প্রতিটি জিনিসের ভালো দিক থাকার পাশাপাশি খারাপ দিক থাকবে, এটা একেবারেই স্বাভাবিক। তবে আমাদেরকে অবশ্যই সবসময় যেকোনো জিনিসের ভালো দিকটা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে আমরাই উপকৃত হবো। তাছাড়া খারাপ দিকটা সবসময়ই পরিহার করতে হবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।