নাটক রিভিউ "আলতা সুন্দরী" ২১ তম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে। বৃন্দাবন দাস রচিত জনপ্রিয় এই নাটকের নাম আলতা সুন্দরী। এই নাটকে মোট ৬২ পর্ব। আজকে আমি উপস্থিত হলাম ২১ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করি।
নাটকের নাম | আলতা সুন্দরী |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাহউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, রহমত আলী, ম ম মোরশেদ, জয় রাজ, রাশেদা চৌধুরী, মনিরা মিঠু, সাইকা আহমেদ, লারা লোটাস, পুতুল, ডায়না সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
মোট পর্ব | ৬২ |
রিভিউ | ২১ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৭ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- শামীম জামান
- আর খ ম হাসান
- চঞ্চল চৌধুরী
বিউটির নামে কলঙ্ক রটার পর থেকে বিউটির ভাই দাও দিয়ে আলতা সুন্দরী কে, রহিম বাদশা কে তাড়া করেছে এবং অনেক জনকে কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু এতে কোন রেজাল্ট হলো না। অবশেষে একটি বিষের শিশি হাতে নিয়ে বোনের কাছে উপস্থিত। গুলজার এর হাতে এমন বিষের শিশি দেখে বিউটি মনে করেছিল তার ভাই বিষ খাওয়ার জন্য বিষের বোতল এনেছে। কিন্তু দেখা গেল শেষমেষ গোলজার তার বোনকেই বলছে বিষ খেয়ে দুনিয়া ছেড়ে যেতে। সব কথার এক কথা বিউটি বলছে, এত কিছু না করে তার ভাই যদি আলতা সুন্দরীর সাথে বোনের বিয়ে দিয়ে দেয় তাহলেই তো সব সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু মনের কষ্টে গুলজার শেষমেষ একটা কথায় ব্যক্ত করল হয়তো শেষকালে তারই বিষ খাওয়া লাগতে পারে। কিন্তু বিষের বোতলটা বিউটির কাছে রেখেই সে চলে গেল। এদিকে বিষের বোতল হাতে পেয়ে বিউটি শুকে দেখল সত্যিই এটা বিষ নাকি অন্য কিছু।
এদিকে রহিম বাদশা শত অপমান মার খাওয়ার পরেও আলতা সুন্দরীকে খোঁজার জন্য আবার এসে উপস্থিত হয়েছে ওস্তাদের গ্রামে। তাকে অনেক বোঝানোর পরেও ওস্তাদ ওস্তাদের পরিবার ব্যর্থ হয়। এতদিন সে আলতা সুন্দরীর জন্য এই গ্রামে আসতো। এখন সে ওস্তাদের পাশে থাকার জন্য গ্রাম ছাড়তে চাচ্ছে না। তার এমন পাগলামি সবার জন্য বেশ হাস্যকর আবার টেনশনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যে কোনো মুহূর্তে গোলজার এর হাতে সে মার খেতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে গোলজার তাকে মেরেছে আবার দাও দিয়ে তাড়াও করেছে।
এদিকে ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া বিষের বোতল পুঁজি করে বিউটি গানের দলের নায়ক কে মিথ্যা ভয় দেখানোর সুযোগ নিল। কারণ সে গানের দলের নায়কের কাছেই মিথ্যা বলে প্রচার করার সুযোগ পায়। সে নায়কের কাছে জানিয়ে দিল আলতা সুন্দরী যদি তাকে বিয়ে না করে সে বিষ খাবে তাই বিষের বোতল নিয়ে ঘুরছে। বিষয়টা বেশ সাংঘাতিক রূপ ধারণ করল। গানের দলের নায়ক বিষয়টা জেনে খুবই ভয় পেয়ে গেল।
এদিকে রহিম বাদশা কে বুঝিয়ে গানের দলের ওস্তাদ তার বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন হঠাৎ সেই মুহূর্তে গানের দলের নায়ক এসে উপস্থিত হয়। বিউটির কান্ড কলাপ গানের দলের ওস্তাদের কাছে সব খুলে বলল নায়ক মেসের। এমন সাংঘাতিক কথা শুনে গানের দলের নায়ক খুব ভয় পেয়ে গেল। এমনিতেই সবাই গুলজারের অত্যাচারে হয়রান। এদিকে তার বোন যদি কখনো বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে তাহলে তাদের বেঁচে থাকাই গায়ে বেধে যাবে। তাই সবাই মহা বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে এমনটাই ধারণা করলো।
এদিকে বিউটি হাঁটতে হাঁটতে যেতে হঠাৎ আলতা সুন্দরীর সাথে দেখা মিলল। আলতা সুন্দরী তাকে জোড়হাত করে বলতে থাকলো তাদের সম্পর্কের মাঝখানে বিউটি কাটা হয়ে যেন আর না থাকে। সে কেন তার জীবনে এমন অশান্তি বয়ে আনলো। কিন্তু বিউটি জোর করে ভালোবাসা পাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখনো। সে তাকে বুঝিয়ে বলল পারুল তাকে সামান্য কথায় ভুলে গেল কিভাবে যদি এতই ভালোবেসে থাকে। আলতা সুন্দরী ঠিকভাবে তাকে বুঝিয়ে বলতে পারছে না কিন্তু মন থেকে প্রচন্ড ভালোবাসে পারুলকে সে পারুলকে পেতে চাই তাদের মাঝখান থেকে বিউটি কে সরে যেতে বলে। কিন্তু নাছোড়বান্দার মত বিউটি লেগে রয়েছে কিভাবে আলতা সুন্দর এক জীবনে ঢোকা যায়। কিছুতেই সে আলতা সুন্দরী কে ছাড়বে না জীবনের যেকোনো মূল্যের যত প্রকার কলঙ্ক আছে সবকিছু রোটিও হলেও আলতা সুন্দরীকে পাওয়ার চেষ্টা।
এদিকে গানের দলের নায়ক আর ভিলেন মনে করে যে রহিম বাদশা তাদের গ্রামে আসার পর যত প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে রহিম বাদশা এই গ্রাম ছেড়ে যেতে চাচ্ছে না এটাও তাদের জন্য বেশ ঝামেলার। কারণ গানের দলের নায়ক মনে মনে ভালোবাসে ওস্তাদের মেয়ে মাসুমাকে। রহিমের জন্যই মাসুমার সাথে তার সম্পর্ক খারাপ দিকে যাচ্ছে। মাসুমা পাত্তা দিচ্ছে না নসু ভিলেন কে। তাই তারা যত দ্রুত সম্ভব সরে যেতে বলল রহিমকে। কিন্তু রহিমের মুখে একটাই কথা গানের দলের ওস্তাদের এমন খারাপ পরিস্থিতির মুখে রেখে সে কিছুতেই গ্রামে যাবে না।
আলতা সুন্দরী নাটকের এই পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি বিউটির ভাই গুলজার মানসিক দিক থেকে অসহায় হয়ে পড়েছে বোনের এমন কলঙ্কের কারণে। কিন্তু বিউটি কলঙ্ককে তুচ্ছ মনে করে আলতা সুন্দরীকে পাওয়ার প্রত্যাশায় এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভাইয়ের দেওয়া বিষের বোতলটাকে পুঁজি করে সে এখনো ভয় দেখিয়ে চলছে আলতা সুন্দরী কে। তাই এই পর্বে ডিউটির অভিনয়টা এখনো বেস্ট রয়েছে। যে নিজের কলঙ্ক অপেক্ষা করে সুন্দর অভিনয় নিজ গতিতে নিয়ে যাচ্ছে। সে আতঙ্কিত করেছে সকল মানুষকে। এমনকি গ্রামের গানের দলটাকেও থামিয়ে দিয়েছে তার কলঙ্কের কারণে। এ নাটকের অন্যান্য অভিনেত্রীরা দারুন অভিনয় করেছে। যেখানে গানের দলের নায়ক বেশ দারুন অভিনয়ের সাথে কথা বলে থাকেন। আর রহিম বাদশা গ্রামে আসা মানে নতুন কিছু দেখাতে চলেন। নাটকটা এজন্য আমার কাছে বেশি ভালো লাগে গ্রামীণ আর তাদের নিকট অভিনয়। তবে আলতা সুন্দরীর মানসিক অশান্তি কবে লাঘব হবে কেউ সঠিক বলতে পারছে না সম্পূর্ণটাই ডিপেন্ড করছে বিউটির ওপর। তাই এক্ষেত্রে বলতে পারি একটা নারী নাটকের মধ্যমণি রূপ নিয়ে বিভিন্ন জনার চলার পথকে উলটপালট করে ফেলেছে। এখানেই ডিউটির সার্থকতা। আর এই থেকে আমরা অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং সচেতন হতে পারি।
রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। এক পরিবার থেকে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে" চারজন সদস্য রয়েছি। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ভালোলাগা রেসিপি তৈরি, নাটক রিভিউ, ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করা সহ ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে সদস্য হয়ে পোস্ট শেয়ার করার।
এই নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।