ভ্রমণ :- মুছাপুর ঘুরতে যাওয়া। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG-20240808-WA0003.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে মুছাপুর ঘুরতে যাওয়া শেষ পর্ব শেয়ার করব। মুছাপুর জায়গাটি এতই সুন্দর দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে ঘুরতে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এইবার বন্যা এই বৃষ্টি গেট নষ্ট হয়ে গেল। এবং এই গেট তৈরি করতে প্রায় ১৫ বছর সময় লেগেছে। এই গেট তৈরি হওয়ার পর নদী এলাকা মানুষের জন্য খুব ভালো হয়েছে। চর এলাকা মানুষগুলো চাষাবাদ করতে পারতেন গেট হওয়ার পর। এখন যেভাবে গেটটি নষ্ট হয়ে গেল আর সহজে ঠিকও হবে না। আমি গেট নষ্ট হওয়ার আগে মুছাপুর ঘুরতে গেলাম আমরা কয়েকজন মিলে।

তবে মুছাপুর জায়গার আশেপাশে জায়গাগুলো এত সুন্দর গেলে মন জুড়িয়ে যায়। আমি বিদেশ থেকে আসার পর কয়েকবার গেলাম ঘুরতে। তবে ওখানে সবকিছুর দাম অনেক বেশি খাওয়া-দাওয়া হয়তে অন্যান্য। এবং মুছাপুর রাস্তার পাশে ভালো ভালো হোটেল তৈরি হয়েছে। ওইখানে তাজা নদীর মাছ পাওয়া যায়। এবং হোটেলে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায় খাওয়ার জন্য। আমরা ঘুরতে গিয়ে ওইখানে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। খাওয়া-দাওয়া গুলো খুব মজায় হয়েছে কিন্তু দাম অনেক বেশি।

যদিও ওই সময় অতিরিক্ত বৃষ্টি ছিল এই কারণে আমাদের কাপড় চোপড় সব ভিজা ছিল। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে আনন্দ করার মজাই আলাদা। একদিকে নদীর পানি অন্যদিকে বৃষ্টির পানি। আমরা যখন অপেক্ষা করতেছি এক ঘন্টার মধ্যে নদীতে বড় জোয়ার আসলো। ওই জোয়ারে নদীতে মাছধরা জেলে গুলো পাশে চলে আসলেন। নদীতে জোয়ার আসার সময় শুধু শো শো শব্দ করতেছে। তবে নদীর আওয়াজ শুনতে অন্যরকম ভালো লেগেছে। তবে অনেক মানুষ দেখতেছি নদীর পানিতে স্নান করতেছে জোয়ারের সময়।

আবার ওইখানে কিছু লোক বলতেছে জোয়ারের সময় নদীর ধারে যেন না থাকে। নদীর উপরে যে অ্যাঙ্গেলগুলো আছে জোয়ার আসলে ওই অ্যাঙ্গেলের উপর দাঁড়ালেও তার উপরে পানি থাকে। তবে পাশে যেই ঝাউ গাছগুলো আছে ওই গাছগুলোর মধ্যেও নদীর জোয়ারের পানি উঠে। যদিও পানিগুলো মাটি জাতীয়। তবে আমাদের মত অনেকে নদীর পানিতে সাঁতার কাটতেছে। এক এক জোয়ারের পানির ঢেউ দেখলে ভয় লাগে। আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত জোয়ার ছিল নদীতে। আর ওই সময়টুকু আমরা নদীতে সাঁতার কেটেছি। যদিও নদীর উপরে জমিগুলোর মধ্যে। তবে ওইদিন আমরা চারজন ভালোই সময় উপভোগ করেছি।

IMG-20240808-WA0011.jpg

IMG-20240808-WA0013.jpg

তবে এই আনন্দটা আমাদের এই জায়গার মানুষের জন্য নষ্ট হয়ে গেল। বন্যা অনেক মানুষকে কাঁদিয়ে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি নষ্ট করেছে। বিগত ১০ বছর আগে রেডি হওয়া এই গেটটি এক বন্যায় নষ্ট হয়ে গেল। আর এই গেট আমার মনে হয় না এত সহজে ঠিক করতে পারবে। কারণ এখন গেটের অস্তিত্ব ওখানে নেই। বলতে গেলে এই জায়গাটি পর্যটক কেন্দ্র হয়ে গেল এই মুছাপুর গেট হওয়ার পরে। আর এই গেট যখন নষ্ট হয়ে গেল ওই জায়গার সৌন্দর্য বা পর্যটক কেন্দ্র নষ্ট হয়ে গেল। তবে অনেকে বলে এইখানে গেট যারা করেছে তাদের কাজের মধ্যে কোন ত্রুটি ছিল। ১০০ বছর গ্যারান্টি দেওয়া গেট ১০ বছরের নষ্ট হয়ে গেল।

সত্যি বন্যার আগে এই জায়গাতে ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল। যদিও আমরা দূরের কারণে বাইক নিয়ে গেলাম চারজন। আর এই দিনগুলো এখন স্মৃতি হয়ে থাকবে আমাদের জন্য। কারণ গেটও তৈরি হবে না আমাদের যাওয়া আর হবে না। সত্যি বলতে এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে মন থেকে ভালো লাগে। এই হচ্ছে মুছাপুর জায়গাটি ঘুরতে যাওয়া শেষ পর্ব। আশা করি আমার পোষ্টের পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

IMG-20240808-WA0012.jpg

IMG-20240808-WA0004.jpg

IMG-20240808-WA0007.jpg

device : Huawei

লোকেশন

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0035.jpg

Sort:  
 yesterday 

আপনি তো দেখছি মুছাপুর ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন। চারজনে মিলে এত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন, এটা শুনে খুবই ভালো লেগেছে। মুছাপুর জায়গাটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। গেট ভেঙে যাওয়ার আগে আমি নিজেও গিয়েছিলাম এখানে। আপনার ঘুরাঘুরি করার প্রথম পর্বটা আমার পড়া হয়েছিল। আপনার কাটানো মুহূর্তটাকে ভালোভাবে উপভোগ করলাম পুরোটা পড়ে। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

 17 hours ago 

আপনার মুছাপুর ভ্রমণের প্রথম পর্ব টা দেখেছিলাম। আজকে শেষ পর্ব দেখে ভালো লাগলো। ১০ বছর আগের তৈরি করা এই গেটটা বন্যায় ভেঙে গিয়েছে। এই নিউজটা সত্যিই খারাপ লাগলো। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

 13 hours ago 

মুছাপুর সমুদ্র সৈকতের জায়গাটা বেশ সুন্দর। আমি অনেকবার গিয়েছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গায় বারবার যেতে খুব ইচ্ছে জাগে। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মুছাপুর সমুদ্র সৈকতে। মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার শেষ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।