"পরশুদিন দু'জনের আকস্মিক মৃত্যু"
নমস্কার
পরশুদিন দু'জনের আকস্মিক মৃত্যু:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আকস্মিকভাবে ঘটা মৃত্যু সম্পর্কে শেয়ার করবো।সেটা মূলত কিভাবে ঘটেছে সেটাই বর্ননা করবো।তো চলুন শুরু করা যাক মূল ঘটনা----
আমাদের এখানে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে।মনে হচ্ছে শীতের কাঁথা এখুনি গাঁয়ে জড়িয়ে নিই--।শুধু কি ঝড়ো হাওয়া,,, কখনো খুবই জোরে ঝড় হয়েছে।ফলে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে,আমাদের বাড়িতে তো আখ গাছগুলো ভেঙে পড়েছে আবার কাৎ হয়ে গিয়েছে।যাইহোক কোথাও কোথাও অনেক ক্ষতিও হয়েছে।আর এমন নিম্মচাপ সৃষ্টির জন্য ঘন ঘন কারেন্ট চলে যাচ্ছে।
রোদের বিন্দুমাত্র দেখা নেই এইজন্য আমাদের সৌরবিদ্যুৎ এ চার্জ হচ্ছে না কয়েক দিন ধরে।ফলে খুবই সমস্যা হচ্ছে ফোন চার্জ দেওয়া থেকে শুরু করে আলো জ্বালানোর।তাই আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে এক প্রতিবেশীর বাড়ি গিয়েছিলাম কারেন্ট এ ফোন চার্জ দিতে।তবুও ঘন ঘন কারেন্ট চলে যাচ্ছিলো তাই কোনো মতে অল্প চার্জ হলে কমিউনিটির কাজ সারলাম।তো সেখানে বসে অল্প কিছুক্ষণ গল্প করার সময় জানতে পারলাম কথায় কথায়---
আসলে আমাদের বর্ধমান জেলায় প্রচুর পরিমানে ধান উৎপাদন করা হয় বলে এর বিশেষ এক খ্যাতি রয়েছে।ধানের গোলা বা ধান ভান্ডার নামে পরিচিত আমাদের বর্ধমান জেলা।তাই অধিকাংশ মানুষ-ই এখানে চাষাবাদের কাজে নিযুক্ত এবং গবাদি পশু পালনে ব্যস্ত।যেমন--এখানে ধান চাষের পাশাপাশি, মাছ চাষ, আলু চাষ,ফুল চাষ,আখ চাষ,সরিষাসহ বিভিন্ন সবজি চাষও করা হয়।তাছাড়া গরু,মহিষ,ছাগল ও ভেড়া পালনে মানুষ বেশি ঝোঁকে।মুরগির ফার্ম থেকে শুরু করে নানা কৃষি কাজ।
পরশুদিনের এক ঘটনার কথা।যেহেতু এখানে বিস্তৃত ফসলের মাঠ রয়েছে সেহেতু এখানে প্রচুর পরিমাণে আইল রয়েছে।যার যে পরিমাণ জমি তার থেকে যেন আইলের সংখ্যা বেশি।তাই ঘাস জন্মাতে পারে খুব সহজেই, আর যেহেতু মাঠে এখন ধান চাষ করা রয়েছে।সেজন্য গবাদি পশুর জন্য অনেকেই আইল থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যায় বস্তা ভরে।তেমনি প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘাস কেটে নিয়ে যায় নিয়ম করে।
পরশু দিন যখন প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছিলো সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাতের শব্দ।এখন বৃষ্টি হলেই কেন জানি বিদ্যুতের ঝলকানির প্রভাব বেশি দেখা যায়।ঠিক সেইসময় মাঠে দু'জন ঘাস কাটছিলো।জানি না ঠিক তারা স্বামী-স্ত্রী কিনা,কিন্তু মাঝে মাঝেই যেহেতু বজ্রপাত হচ্ছিলো।তেমনি হঠাৎ তীব্র বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেল ফসলের মাঠ থেকে।ঘাস কাটা মানুষের উপর দিয়ে মেঘ ডাকার আওয়াজ শোনা গেল।এভাবেই গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটা অবস্থায় আকস্মিকভাবে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হলো দু'জনের।যেটা খুবই নির্মম দৃশ্যের অবতারণা করে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP,
0.00 TRX
আমাদের এখানে তিনদিন ধরে যে বৃষ্টিপাত হলো কিন্তু যাই হোক বজ্রপাত হয়নি। বজ্রপাত হলে বেশ আতঙ্কটা সৃষ্টি হয় এবং কখন কোথায় কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় কেউ জানে না। তাইলে বজ্রপাতের মুহূর্তে বাইরের পরিবেশে না থেকে ঘরে থাকাটাই বেটার। যেহেতু আকর্ষিকভাবে দুইজনার মৃত্যু হয়েছে তাই অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রকৃতির ঘটনা সম্পর্কে আমরা কেউ জানি না তাই ঘরে থাকতে হবে।আপনার সুন্দর পরামর্শ দানের জন্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টি দেশের বেশির ভাগ জায়গায় হয়েছে আপু।আর ঝড় বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হওয়া স্বাভাবিক। আর এই সময় সবার উচিত নিজ নিজ স্হানে ফিরে যাওয়া। লোক দুজনের জন্য সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। তবে এখানে কারো হাত নেই। তবে আমাদের সবার সাবধানে থাকতে হবে।
এতে কারো হাত নেই,একেবারেই ঠিক।আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে এই খবরটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। কেননা একটা পরিবারের দুজন উপার্জনের মানুষ যদি চলে যায় তাহলে সেই পরিবারটির কি অবস্থা হয় তা আমাদের ভাবনা চিন্তার বাইরে। আর এই নিম্নচাপের কারণে সব জায়গায় এই একই ধরনের অসুবিধা হচ্ছে। সবাই সাবধানে থাকবেন।
আসলেই খুবই চিন্তার বিষয় এটা।কিন্তু প্রকৃতির কাছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র,ধন্যবাদ দাদা।
খুব দুঃখজনক ও কাঙ্খিত ঘটনাটি।আমাদের এলাকায়ও অনেক ধান চাষ হয় দিদি আপনাদ বর্ধমানের মতো।কৃষি প্রধান এলাকা।নিম্নচাপের ফলে আকাশ এতো খারাপ রুপ নিয়েছে। খারাপ লাগলো যে ঘাসকাটা অবস্থায় বজ্রপাতে দুজনার মৃত্যু হয়েছে।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দিদি।
বছর কয়েক আগে আমাদের দেশেও বজ্রপাতে প্রচুর পরিমাণ মানুষ মারা যেত। এখন এর প্রভাব কিছুটা কমেছে। আপনার কথাটা শুনে বেশ খারাপ লাগল। আসলে বিদ্যুতের এমন ঝলকানি দেখলে আমাদের এইরকম ফাঁকা মাঠে যাওয়া উচিত না।
আপনাদের দেশে বজ্রপাতের প্রভাব কমেছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো, সত্যি এই রকম অনাকাংখিত পরিস্থিতি হতে সবাই মুক্ত থাকুক। ছোট বেলায় খুব শুনতাম গ্রামে বজ্রাঘাতে অনেকের মৃত্যু হতো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বর্তমানে বজ্রপাতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েও গিয়েছে।ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কষ্ট লাগলো। কারণ একই পরিবারের দুজন মানুষ চলে যাওয়া যে কি কষ্টদায়ক সেটা সেই পরিবারের মানুষগুলোই বুঝতে পারছে।বর্তমানে বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতের ঝলকানি টা একটু বেশি দেখা যায় এটা ঠিক বলেছেন আপু। বজ্রপাতের সময় বাইরে না যাওয়াটাই ভালো।নিজে সাবধানতা অবলম্বন করে চললে এই বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।সত্যিই সেই লোক দুজনার জন্য অনেক খারাপ লাগলো।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সবকিছুতেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, আবার ভাগ্যও কাজ করে।আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।