জেনারেল রাইটিং ‌(ছোট গল্প) || সত্যি কি এটা ভালোবাসা !!

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আজ - বৃহস্পতিবার

৩০ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন
1000003850.jpg

source

সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আবার নতুন একটি পোস্ট আমি শুরু করতে যাচ্ছি। আজকে আমি যে বাস্তব ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এই ঘটনাটিতে আমি নিজেও আছি অর্থাৎ এই ঘটনার সঙ্গে আমার লাইফের একটা কানেকশন রয়েছে। তাই আমি আপনাদের মাঝে এই ঘটনাটি একদম ডিটেলস এ শেয়ার করতে পারব। যাই হোক চলুন মূল ঘটনায় যাওয়া যাক। (ব্যক্তিগত কারণে আমি তাদের নাম এখানে নিচ্ছি না আমি ছদ্মনাম ব্যবহার করছি) প্রথমে বলে রাখি এই ঘটনাটি একটি প্রেমের কাহিনী। জানিনা এটা প্রেম ছিল নাকি অন্য কিছু তবে যাই হোক আপনাদের মাঝে আজকে আমি এটা শেয়ার করতে চাই, আপনারাই ডিসাইড করবেন এটা কি ছিল। হাই স্কুল জীবনে আমরা খুব সুন্দর ভাবেই মৌজ মাস্তি করতাম সব বন্ধুরা একসঙ্গে বসে থাকতাম আড্ডা দিতাম এবং মাঝেমধ্যে কয়েকটা প্রেম ও করতাম। ‌আমাদের একটা বন্ধু ছিল তার নাম ছিল দুর্জয়। সে খুবই নম্র স্বভাবের একজন ছেলে খুবই ভদ্র একজন ছেলে বলা যায় যে আমাদের সমাজের মধ্যে যদি কোনো ভালো ছেলে থাকে তাহলে সবাই তার নামটাই আগে নিত।

1000003851.webp

source

আমরা যখন প্রেম করতাম মোবাইলে কথা বলতাম বা চ্যাট করতাম এই বিষয়গুলো সব সময় ও ইনজয় করত এবং আমাদেরকে বলত যে বন্ধু আমাকেও এ
কটা করিয়ে দাও প্রেম। আসলে আপনারা এই বিষয়টা আশা করি কেউ অন্যভাবে নিবেন না কারণ বয়সের একটি পর্যায়ে একটু হালকা বাতাস গায়ে লাগে সে বয়সের কথায় আমি এখানে শেয়ার করছি। তো যাই হোক, আমরা চাইতাম যে সেও একটা প্রেম করুক এবং তার জীবনটা ইনজয় করুক। তাই অনেক সময় অনেক বন্ধু-বান্ধবকে বলে অনেক মেয়ের নাম্বার ম্যানেজ করে ওকে দিতাম কিন্তু সমস্যা হল ও মেয়েদের সাথে একেবারেই কথা বলতে পারতো না।আর সামনাসামনি তো একেবারেই নিশ্চুপ তেমন একটা কথা বলতো না কিন্তু আমাদেরকে বলতো ওর মনের কথাগুলো। তবে আমাদেরও ইচ্ছা হতো যে ও একটা প্রেম করুক যাতে ওর শখটাও পূরণ হয়। তো এভাবে দিন কাটে তারপরে ও একটা ভালো স্মার্টফোন ক্রয় করে এবং তারপর থেকে জানি কি ওর হল ও টিকটক করা শুরু করল। আমি কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে টিকটক একেবারেই পছন্দ করি না।

1000003852.jpg

source
তবে ওর ইচ্ছে ছিল যে ও টিকটক করবে এবং যেহেতু বন্ধু ইচ্ছা করছে ও মনে কষ্ট পাবে বলে ওকে তেমনভাবে কোন কিছু বলতাম না। মাঝেমধ্যেই ভিডিও করত এবং tiktok আপলোড করতো তো এভাবে কিছুদিন পর হঠাৎ একটা মেয়ের সঙ্গে ওর পরিচয় হয় তার নাম ছিল মেঘলা। মেঘলার বাড়ি আমাদের এলাকা থেকে তিন থেকে চার কিলো দূরে অর্থাৎ বলা যায় যে পাশের এলাকাতেই। তো তার সঙ্গে যখন পরিচয় হয় এক পর্যায়ে দুর্জয় মেঘলার উপরে দুর্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু মেঘলা মেয়েটা তেমন একটা সুবিধার নয়। কারণ ওর নামে অনেক খারাপ রিপোর্ট রয়েছে এবং রেগুলার অনেকগুলো ছেলের সঙ্গে প্রেম করে এই খবরগুলো কিন্তু সবসময় আমাদের কানে আসতো। আমরা একদিক থেকে দুর্জয় ‌কে‌গিয়ে নিষেধ করতাম যে প্রেম করছো এই পর্যন্ত ঠিক আছে তবে এর চেয়ে বেশি কিছু চিন্তা করা কিন্তু বোকামি হবে সাবধানে থেকো। তবে সত্যি বলতে হয়তো বা দুর্জয় মেঘলা কে ভালোবেসে ফেলেছিল তাই লুকিয়ে লুকিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করতো। কিন্তু যখনই মেঘলা দুর্জয় ‌এর সঙ্গে দেখা করতে আসছে তখন ওর সাথে করে একটা পান নিয়ে আসতো।

1000003853.jpg

source

এই পান নিয়ে আসার বিষয়টা কিন্তু আমি নিজে দেখেছি কারণ এক পর্যায়ে আমি ওকে ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করাতে সাহায্য করেছিলাম তখন দেখলাম যে ওই মেয়েটা হাতে করে একটা পান নিয়ে আসছিল। আমি কিন্তু তখন মজা করে বললাম যে দেখো পান দিয়ে আবার পাগল না বানিয়ে দেয়। তো যাই হোক এভাবেই দিনকাল চলছিল। হঠাৎ আমরা জানতে পারি যে ওই মেয়েটা একসাথে অনেকগুলো রিলেশন করে এবং এই কথাটা যখন আমাদের কানে আসল তখন সত্যি বলতে আমাদের অনেক বেশি রাগ হচ্ছিল কারণ আমরা ভেবেছিলাম যে ওর সঙ্গে যখন রিলেশন করছে হয়তোবা মেঘলা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু জানিনা কেন এটা করছিল এবং কি আনন্দ এগুলো করে পাই। একপর্যায়ে যখন আমরা এগুলো আর সহ্য করতে পারছিলাম না তখন দুর্যোগকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করি কিন্তু ও একেবারেই এগুলো বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না। তখনই বুঝতে পারলাম হয়তোবা ও মেঘলাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু যখন আমরা মোবাইলের কল রেকর্ড এবং কিছু পিক ওকে দেই তবুও ও এগুলো মেনে নিতে পারছিল না আরো বার ,বার বলছিল যেগুলো সব এডিট করা এবং ভুয়া।

তখন আমাদের খটকা আসলো যে হয়তোবা মেয়েটা কোন ভাবে গাছ খাওয়াতে পারে। তা না হলে এমনটা করবে কেন ও একেবারেই কোন কিছুতেই ওর বিরুদ্ধে কোন কথা মেনে নিতে পারছে না। বাকি গল্প দ্বিতীয় ‌পর্বে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ...।

ব্লগার@emonv
ডিভাইসTecno camon 20
শ্রেণী ‌জেনারেল রাইটিং

🔚 সমাপ্তি

Screenshot_20240511-225100.jpg

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

দূর্জয় এর খুব ইচ্ছে ছিল প্রেম করার।তাই সব বন্ধুরা মিলে বন্ধুর জন্য অনেক মেয়ের নাম্বার জোগাড় করে দিত।কিন্তু সে খুবই বোকা স্বভাবের ছিল।তাই কোনো মেয়ের সাথে ঠিকমত কথা বলতে পারতো না।যদিও শেষে একটি প্রেম করেছিল কিন্তু মেয়েটি দূর্জয় কে ঠকাচ্ছিল এই কথা সব বন্ধুরা মিলে বলার পড়েও সে মিথ্যে মনে করতো। কারণ সে মেয়েটির ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে ছিল।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 yesterday 

আসলে এটি কিন্তু খুবই একটা খারাপ বিষয়। কারণ আপনার বন্ধুটি কিন্তু যে কোন সময় বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারে। যদিও ছোটবেলায় সবাই কারো না কারো প্রেমে পড়েছিল। কিন্তু একটা ভালো ছেলে যখন একটা খারাপ মেয়ের পাল্লায় পড়ে তখন কিন্তু সেও খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 21 hours ago 

আসলে ভালো মানুষ খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়লে কি থেকে কি হয়ে যায় এটা তারা নিজেও জানেনা। দুর্জয় মেয়েটাকে দেখছি অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল। আপনারা তাকে বুঝানোর সত্ত্বেও তিনি কিছুই বিশ্বাস করেননি। আসলে মানুষ ভালোবাসার নামে যখন ছলনা করে তখন এটা সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। আর ভালোবাসার মানুষটার সম্পর্কে নেগেটিভ কোনো কিছু শুনতেও মনে হয় ভালো লাগে না কারো কাছে। পরবর্তীতে উনার সাথে আসলে কি হয়েছিল এটা জানার জন্য অনেক আগ্রহ জেগেছে।