Better Life with Steem|| The Diary Game|| 20th September 2024

in Incredible India8 hours ago (edited)
PhotoCollage_1726862143667.jpg

Hello Friends,
আবারো আজ বিলম্বই হলো লেখা শুরু করতে যেটা ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু ঐ যে হঠাৎ করেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে চলে আসছিল তাই একটু বিলম্ব হয়েছে। আপনাদের এলাকায় তাপমাত্রা কেমন?

আমাদের এখানে এতোটাই তাপমাত্রা ছিল যে মনে হচ্ছিল আজ মনে হয় সূর্য মামা একটু নিচেই অবস্থান করছে। যাইহোক, আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি আমার আজকের দিনের কার্যক্রম।

IMG20240920103652.jpg

অন্যান্য দিনের মতো আজকেও বিলম্ব হয়েছিল ঘুম থেকে উঠতে। প্রাতঃকৃত্য শেষ করে নিত্যদিনের মতো ওষুধ খেয়েছিলাম এবং খিদেটা যেন একদমই ছিল না। ঘরের বাইরে যাওয়ার কোনো উপায়ই ছিল না এতোটাই গরম।

হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেটা একদমই বিরক্তিকর তাই রেডি হয়েছিলাম বাজারে যাওয়ার জন্য। হাতে একদমই টাকা নেই তাই এই সুযোগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কিছু টাকা ক্যাশ করেছিলাম। রাস্তায় গাড়ি ও নেই কিন্তু এই রোদ্দুরে হেঁটে হেঁটে বাড়িতে ও ফিরতে ইচ্ছে করছিল না।

ইতিমধ্যে আমার দুই শিক্ষার্থী উপস্থিত এবং বিদ্যুৎ আসায় চায়ের দোকানে গিয়ে চা অর্ডার করেছিলাম। ইদানিং আমি আবার চা খাওয়ার অভ্যাসটা কিছুটা হলেও কমিয়েছি। তাই ওদের সাথে বসে বসে বর্তমান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ও কিছুক্ষণ কথা বলেছিলাম।

IMG20240920104726.jpg

দেখুন কি পরিমাণে গরম, কারণ আমরা জানি বিড়াল খুবই আরামপ্রিয় প্রাণী যে কিনা সর্বক্ষণ নরম বিছানা পছন্দ করে। অথচ গরমে বিরক্ত হয়ে সে এখন ঠান্ডা মাটিতে শরীর এলিয়ে পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে। বিড়ালটাকে আমি আজ আর একটুও বিরক্ত করিনি। কারণ নিজেও গরমে বিরক্ত হয়ে আছি, কেউ ভালো কথা বললেও শুনতে বাজে লাগছে।

20240920_114829.jpg

চা শেষ হতে না হতেই আমার বন্ধু বাপি স্ব-দলবলে উপস্থিত। আমি একটঙ দ্রুত বাড়িতে ফেরার কথা চিন্তা করেছিলাম কিন্তু সেটা আর হলো না। তাই সকলে মিলে একটা মোজো নিয়ে খেতে খেতে প্রায় দুপুর।

IMG_20240920_015745.jpg

সবাই এক সাথে থাকলে যেটা হয় আর কি! ঐ ঘুমিয়ে থাকা বিড়ালটিকে টেনে টুনে জাগালো ইমন। এবার সে আমার পায়ের কাছে এসেই মিউ মিউ শুরু করলো। কিন্তু খাবার দেওয়া যাবে না। কারণ বিড়ালের খাবারে আবোল তাবোল হলেই অসুস্থ হয়ে পড়বে।

উপরোল্লেখিত দুটো ছবি আমি আমার অন্য মোবাইল থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে নিয়েছি।

IMG20240920130242.jpg

যেহেতু, আজ একটা মুরগি নেওয়া প্রয়োজন তাই দাদার খামারে গিয়েছিলাম। কারণ মুরগির খামার থেকে মুরগি না নিলেও দাদাকে লাগবে মুরগি ধরার জন্য। দাদাকে ডাকতে গিয়ে দাদার মুরগির খামারে গিয়েছিলাম। খামারের মুরগির চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল দেশী মুরগি।

ওহ! দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বাড়িতে ফিরেই ডাবের জল খেয়ে স্নানে গিয়েছিলাম। অনেক খিদের জন্য দ্রুত খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ঘুমানোর কোনো উপায় নেই আবারো বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তাই মোবাইল রেখেই কাকুর ঘরের ছাদে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে আরো খারাপ অবস্থা। ছাদ উত্তপ্ত হয়ে আছে আবার গাছের পাতার কোনো নড়াচড়া ও নেই অর্থাৎ কোনো বাতাস নেই।

বোন ডেকে বললো কারেন্ট এসেছে, ছাদ থেকে নেমে এসে আবারো ঘুমিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় বোনের মেয়ের সাথে কিছু সময় কার্টুন দেখে একটু কম্পিউটারে বসবো তখনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কল এসেছিল। কথা শেষ করতেই আবারো বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

IMG20240920224014.jpg

গরমে যেন ঘরে থাকতে রাতেও কষ্ট হচ্ছিল। তাই দাদু ও ভাইয়ের সাথে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ বসতে না বসতেই বাতাসের বিকট আওয়াজ কানে ভেসে আসছিল। বুঝতে আর বাকি রইলো না যে ঝড়ের পূর্বাভাস এবং এখনি শুরু হবে। তাই দৌড়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

এভাবেই আমি সকাল থেকে রাত অবধি সময় অতিবাহিত করেছি। এখানেই আমার লেখাটি শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...