দুর্ঘটনা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আমার বেশ কিছুদিন ধরে শরীরটা একদমই ভালো যাচ্ছে না সঙ্গে মানসিক সমস্যা হচ্ছে। কোন কাজই ঠিকমতো মন দিয়ে করতে পারছি না। আমার সাথে সাথে শাশুড়ি মায়ের ও শরীরটা খুবই খারাপ। সংসারের কোন কাজই করতে পারছে না ।তাই আমাকেই সবকিছু সামলাতে হচ্ছে। তাতে আবার বর বাড়িতে এসেছে। তার বায়না শুনতে শুনতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এমনি কেটে যাচ্ছে। মানুষের জীবনে দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না ।আমার সাথেও এরকমই একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল গতকাল রাত্রে। রাত তখন সাড়ে দশটা বাজে। রাতে খাবার করবার জন্য নিচে এসে ভাতের জন্য চাল ধুয়ে প্রেসার কুকারে বসিয়ে দিয়েছিলাম।
আমরা রাতের খাবার প্রেসার কুকারে করি। কিন্তু কোনদিন কোন দুর্ঘটনা আমাদের সাথে ঘটেনি। গতকাল রাত্রে প্রেসার কুকারে ভাত বসানোর পর আমি নিজেই বসে ছিলাম ।যে প্রেসার কুকারে একটা সিটির আওয়াজ শুনলেই বন্ধ করে দেব। কিন্তু অনেকক্ষণ বসার পর একটা সিটির শব্দ শুনেই আমি উঠে যেতেই দেখি প্রেসার কুকারে মাথায় যে অংশটা থাকে সেটা খুলে গেছে। খুলে প্রেশার কুকারের মাথায় যে লম্বা ছিদ্র টা থাকে সেইখান দিয়ে ঝরনার মত সাড়া ঘরে ভাতের ফ্যান ছড়িয়ে গিয়েছিল। এছাড়া রান্নাঘরের সিলিং পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল । সারা ঘর ধোঁয়ার মতো অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল।
আমি, শশুর ,শাশুড়ি তিনজনেই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ।কারণ তখন আমার বর বাড়িতে ছিল না। পাশের বাড়ির লোকজন দেখে প্রত্যেকে চিৎকার করছে ।কিন্তু আমি তো ভয়ে ঢুকতেই পাচ্ছিলাম না।তাও ভয়ে ভয়ে রান্না ঘরে ঢুকে গ্যাসটাকে অফ করে দিয়েছিলাম। গ্যাস অফ না করলে যে কি হত সেটা আমরা নিজেই জানিনা। আমাদের এইরকম অবস্থা দেখে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসেছিল। তারাও এইরকম অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এরকম ঘটনা নাকি তাদের জীবনে প্রথম দেখা। আমি বুঝতেই পারিনি এরকম একটা দুর্ঘটনার মুখোমুখি আমাকে হতে হবে। শাশুড়ি মা তো আমাকেই বকছিল ।কারণ আমি প্রেসার কুকারে মাথাটা খুলে দেখিনি। অনেক সময় প্রেসার কুকারে ছিদ্রটা জ্যাম হয়ে থাকলে নাকি এরকম ঘটনা ঘটে।
আমি প্রথম থেকেই প্রেসার কুকারে রান্না করতে ভয় পাই ।কারণ আমার খুব একটা অভ্যাস নেই। যাই হোক আমি যেটুকু ভাতের জন্য চাল দিয়েছিলাম তার অধিকাংশই পেশার কুকারে ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে রান্না বান্না করছি। কোনদিন এরকম দুর্ঘটনার কবলে আমাকে পড়তে হয়নি। শাশুড়ি মা পরে ভালো করে বুঝিয়ে বলল প্রেসার কুকারে যখনই রান্না করবে ভালো করে দেখে নিয়ে তবে রান্না করবে। তবে আমি মনে মনে ভেবে নিয়েছি আমি আর প্রেসার কুকারে রান্নাই করব না। প্রত্যেকে এই ঘটনা শোনার পর থেকে বলছে আমি রান্না ঘরে ছিলাম না। এটাই আমার ভাগ্য। থাকলে যে কি হত সেটা আমি নিজেও জানিনা। হয়তো ভগবান আমাকে বাঁচিয়ে নিয়েছিল। তবে এরপর থেকে আরো আমাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
আজ এইখানেই শেষ করছি ।সকলেই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আমাদের যখন শরীর এবং মন দুইটাই ভালো না থাকে তখন কোন কিছুই করতে মন চায় না, আপনার শরীর এবং মনের দ্রুত উন্নতি কামনা করছি, মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হয়, এজন্য আমাদের সকলের উচিত সাবধানে কাজ করা, অবশ্যই আপনিও খুব সাবধানে কাজ করবেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের যখন শরীর এবং মন দুইটাই ভালো না থাকে তখন কোন কিছুই করতে মন চায় না, আপনার শরীর এবং মনের দ্রুত উন্নতি কামনা করছি, মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হয়, এজন্য আমাদের সকলের উচিত সাবধানে কাজ করা, অবশ্যই আপনিও খুব সাবধানে কাজ করবেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিপদ কখনো বলেকয়ে আসে না। হঠাৎ দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। আপনার শাশুড়ি মা অসুস্থ তার সাথে আপনার শরীরটা ভালো নেই । অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও সংসারের সকল কাজ মেয়েদের করতে হয় ।
আপনি পাঁচ বছর ধরে রান্না করলেও এমন কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে হয়নি । প্রেসার কুকারে অনেকে ভাত ও ডাল রান্না করে। দেখা যাচ্ছে চালের কনা অথবা ডাল কনা প্রেসার ঢাকনার ছিদ্রতে আটকে যেতে পারে যা থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বা অনেক সময় ঘটেও থাকে ।
এই জিনিসগুলো যেমন আমাদের অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয় তেমনি এগুলো খুব সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হয় ।আশা করি আপনি পরবর্তীতে এগুলো সাবধানে ব্যবহার করবেন। ঈশ্বরের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি , এই বিপদ থেকে আপনাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন।